প্রবল বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা উজান পানির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়ে বিপদ সীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন নদী তীরবর্তী মানুষ।
রংপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে ২৮ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার।
কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বেড়েই চলেছে । নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসকারি লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে বন্যা হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে নদীর তীরবর্তী মানুষ। এছাড়া নদী তীরবর্তী আবাদি জমি পানির নিচে চলে যাবে, এতে চীনাবাদাম ও সবজির ক্ষতি হবে।
কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিদুল হক বলেন, এখানে বন্যার পূর্বাভাস এখনো পাওয়া যায়নি। তবে বন্যায় যেন কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য সবধরণের প্রস্তুতি চলছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ডব্লিউডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা উজান থেকে আসা পানির কারণে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।
ডালিয়া পয়েন্টে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে শুক্রবার বিকেল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে তিস্তার পানি রংপুর জেলার কাউনিয়া পয়েন্টে ভাটিতে বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। তাই ভাটিতে নদীর তীরের পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।